al-quraner-ahoban

Header ADS

নামাজ শিক্ষা, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের নিয়ম ও পদ্ধতী।

নবী করিম সাঃ বলেছেন ইসলামের মূল ভিত্বি হলো পাঁচটি প্রথমে হলো শাহাদাহ, তার পরেই যে বিষয় টিকে আল্লাহ ফরজ করেছেন সেটি হলো নামাজ বা সালাত । তাই আমাদের নামাজ শিক্ষা করতেই হবে । নামাজ যেমন ভাবে ফরয তেমনি ভাবে নামাজ শিক্ষা করাও ফরজ, তাই নিচে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সম্পর্কে সংক্ষেপে আলচনা করা হলো আসা করি শেষ পর্যন্ত আমার সাথে পাব ইনশাআল্লহ।

কুরআন ও হাদিসের বিভিন্ন বর্নণা থেকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বর্নণা পাওয়া যায়, তাই প্রত্ত্যক মুসলমান ব্যাক্তিই নামাজ শিক্ষা পূর্ণভাবে আয়ত্ত করা দরকার।


ফজরের নামাজের নিয়ম :


ফজরের নামাজ ( আরবি: صلاة الفجر‎ সালাতুল ফজর ) মুসলিমদের অবশ্য পালনীয় দৈনন্দিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের অন্যতম। ফজরের নামাজ প্রথম দুই রাকাত সুন্নত ও দুই রাকাত ফরজ নামাজ নিয়ে গঠিত। সুবহে সাদিক থেকে সূর্যোদয়ের আগ পর্যন্ত ফজরের নামাজের সময়।

যোহরের নামাজের নিয়ম :


যোহরের নামাজ (আরবি: صلاة الظهر‎; সালাতুল যুহর) দৈনিক নামাজগুলোর মধ্যে এটি দ্বিতীয়। এটি ঠিক দুপুর থেকে আসরের পূর্ব পর্যন্ত আদায় করা হয়। যোহরের নামাজ চার রাকাত সুন্নত, চার রাকাত ফরজ ও এরপর দুই রাকাত সুন্নত নিয়ে গঠিত। ব্যক্তি মুসাফির অবস্থায় থাকলে চার রাকাত ফরজকে সংক্ষিপ্ত করে দুই রাকাত করতে পারে ও সুন্নত আদায় না করতে পারে। শুক্রবার যোহরের পরিবর্তে জুমার নামাজ আদায় করা হয়। জুমা ও যোহরের সময় শুরু ও শেষ হওয়ার নিয়ম একই।

জুমার নামাজের নিয়ম:


জুমার নামাজ (আরবি: صلاة الجمعة‎ সালাতুল জুম্মা”) ইসলামের অন্যতম একটি নামাজ। প্রতি শুক্রবার দুপুরে অন্যান্যদিনের যোহরের নামাজের বদলে এই নামাজ আদায় করা হয়। সময় একই হলেও যোহরের সাথে জুমার নামাজের নিয়মগত কিছু পার্থক্য রয়েছে।

জুমার নামাজে দুই রাকাত ফরজ রয়েছে। এছাড়া কিছু সুন্নত নামাজ আদায় করতে হয়। যোহরের মত ব্যক্তি চাইলে এসময় অতিরিক্ত নফল নামাজ আদায় করতে পারে। তবে এসকল নফল নামাজ জুমার অংশ হিসেবে পড়া হয় না এবং তা আবশ্যকীয়ও নয় বরং ব্যক্তি তা স্বেচ্ছায় করতে পারে এবং না করলে তার দোষ হয় না।

জুমার নামাজ জামাতের সাথে আদায় করা আবশ্যিক এবং তা একাকী আদায় করার নিয়ম নেই। কুরআনে জুমার নামাজের সময় হলে কাজ বন্ধ করে নামাজের জন্য মসজিদে যাওয়ার প্রতি তাগিদ দেয়া হয়েছে। তবে কোনো ব্যক্তি যদি কারণবশত (যেমন খুব অসুস্থ ব্যক্তি) জুমা আদায় করতে না পারে তবে তার ক্ষেত্রে যোহরের নামাজ আদায় করা নিয়ম। তাছাড়া কিছু ক্ষেত্রে সুস্থ ব্যক্তির উপর, যেমন মুসাফির অবস্থায় জুমার আবশ্যকতা থাকে না এবং সেক্ষেত্রে যোহরের নামাজ আদায় করলে তা গ্রহণীয় হয়। তবে মুসাফির চাইলে জুমা আদায় করতে পারে। click here

খুতবা


জুমার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল খুতবা। এতে ইমাম বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বক্তৃতা দেন। যে ইমাম খুতবা দেন তাকে বলা হয় খতিব। এসময় দুইটি খুতবা দেয়া হয়। দুই খুতবার মাঝখানে অল্প কিছু সময়ের বিরতি নেয়া হয়। মসজিদের প্রতিদিনের ইমাম খুতবা দিতে পারেন বা জুমার দিন বিশেষ কেউ খুতবা দিতে পারেন। খুতবা সাধারণত আরবি ভাষায় দেয়া হয়। তবে কিছু স্থানে স্থানীয় ভাষায় খুতবা দেয়ার প্রথা দেখা যায়।

আসর নামাজের নিয়ম :


আসরের নামাজ (আরবি: صلاة العصر‎; সালাতুল আসর) দৈনিক নামাজগুলোর মধ্যে এটি তৃতীয়। এটি বিকেলের সময় আদায় করা হয়। আসরের নামাজ চার রাকাত সুন্নত ও চার রাকাত ফরজ নিয়ে গঠিত। ফরজ অংশ ইমামের নেতৃত্বে জামাতের সাথে আদায় করা হয়। তবে ব্যক্তি মুসাফির অবস্থায় থাকলে চার রাকাত ফরজকে সংক্ষিপ্ত করে দুই রাকাত করতে পারেন।

মাগরিবের নামাজের নিয়ম :


মাগরিবের নামাজ (আরবি: صلاة المغرب‎; সালাতুল মাগরিব) দৈনিক নামাজগুলোর মধ্যে এটি চতুর্থ। এটি সূর্যাস্তের পর থেকে গোধূলি পর্যন্ত আদায় করা হয়। মাগরিবের নামাজ তিন রাকাত ফরজ ও দুই রাকাত সুন্নত নিয়ে গঠিত। ফরজ অংশ ইমামের নেতৃত্বে জামাতের সাথে আদায় করা হয়। তবে ব্যক্তি মুসাফির অবস্থায় থাকলে শুধুমাত্র তিন রাকাত ফরজ আদায় করতে পারে।

ইশার নামাজের নিয়ম :


ইশার নামাজ (আরবি: صلاة العشاء‎; সালাতুল ইশা) দৈনিক নামাজগুলোর মধ্যে এটি পঞ্চম। এটি রাতের সময় আদায় করা হয়। ইশার নামাজের ফরজ চার রাকাত। এরপর দুই রাকাত সুন্নত ও তিন রাকাত বিতর নামাজ রয়েছে। ফরজ নামাজের পূর্বে ৪ রাকাত সুন্নত নামাজ পড়া হয়। এটি না পড়লে কোন গুনাহ হবে না। ফরজ অংশ ইমামের নেতৃত্বে জামাতের সাথে আদায় করা হয়। তবে ব্যক্তি মুসাফির অবস্থায় থাকলে চার রাকাত ফরজকে সংক্ষিপ্ত করে দুই রাকাত করতে পারেন।

বিতরের নামাজের নিয়ম :


বিতরের নামাজের তিনো রাকাতে সূরা ফাতেহার পরে সূরা মিলানো ফরজ। আর তৃতীয় রাকাতে ক্বেরাতের পর الله اڪبر বলে কান বরাবর হাত উঠিয়ে আবার নাভীর নিচে হাত বেধে দোয়ায়ে কুনুত পড়বে।

اللهم انا نستعينڪ و نستغفڪ ونؤمن بڪ و نتوڪل عليڪ ونثني عليڪ الخير و نشڪرڪ ولا نڪفرڪ و نخلع ونترڪ من يفجرڪ اللهم اياڪ نعبد ولڪ نصلي و نسجد واليڪ نسعي و نحفد ونرجو رحمتڪ و نخشي عذابڪ ان عذابڪ بالڪفار ملحق


উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্না নাসতাইনুকা ,অনাসতাগফিরুকা,অনু-মিনুবিকা, অনাতাঅক্কালু আলাইকা, অনুসনী আলাইকাল খইরা , অনাশকুরুকা , অলানাকফুরুকা, অনাখলা’ ণাতরুকু, মাই ইয়াফ জুরুকা, আল্লাহুম্মা ইয়্যাকানা’বুদু , অলাকানুছল্লি, অনাসজুদু, অইলাইকা নাসআ, অনাহফিদু, অনারজু রহমাতাকা, অনাখশা আযাবাকা, ইন্না আযাবাকা বিলকুফ্ফারি মুলহিক।

তারপর বিতরের নামাজের বাকী নিয়ম অন্যান্য

৭টি মন্তব্য:

  1. […] সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হচ্ছে নামাজ । কেয়ামতের দিন সর্বপ্রথম আল্লাহ […]

    উত্তরমুছুন
  2. […] স্থান ও শরীরের পবিত্রতা অর্জনের পর নামাযের সময় হলে নফল অথবা ফরয, যে কোন নামায পড়ার […]

    উত্তরমুছুন

merrymoonmary থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.