নামায ইসলামের দ্বিতীয় রুকন, যা সুপ্রতিষ্ঠিত করা ব্যতীত মুসলমান হওয়া যায় না। নামাযে অবহেলা, অলসতা মুনাফিকের বৈশিষ্ট্য। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কথা মুতাবিক নামায পরিত্যাগ করা কুফরি, ভ্রষ্টতা এবং ইসলামের গণ্ডীবহির্ভূত হয়ে যাওয়া।
কুরআন হাদিসের আলোকে নামায পড়ার পজিলত ।
কুরআন হাদিসের আলোকে নামাজের গুরুত্ব আমাদের অনেকের জানা নেই, সহীহ হাদীসে এসেছে,
بين الرجل وبين الكفر والشرك ترك الصلاة
অর্থ: “মুমিন ও কুফর-শিরকের মধ্যে ব্যবধান হল নামায পরিত্যাগ করা”। (মুসলিম) এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেন:
العهد الذي بيننا وبينهم الصلاة فمن تركها فقد كفر
অর্থ: “আমাদের ও তাদের মধ্যকার অঙ্গীকার হল নামায। অত:পর যে ব্যক্তি তা পরিত্যাগ করবে সে কাফির হয়ে যাবে। হাদীসটি ইমাম তিরমিযী বর্ণনা করেছেন এবং বর্ণনাসূত্রের নিরিখে হাদীসটিকে হাসান (সুন্দর) বলেছেন। নামায ইসলামের স্তম্ভ ও বড় নিদর্শন এবং বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনকারী। সহীহ হাদীসে এর প্রমাণ।রাসূলুল্লাহ সাঃ নামাজের গুরুত্ব দিয়ে বলেন:
إن أحدكُم إذا صَلَّى يُناجي ربَّه
অর্থ: “নিশ্চয়ই তোমাদের কেউ যখন নামায আদায় করে তখন সে তার প্রতিপালকের সাথে (মুনাজাত করে) নির্জনে কথা বলে। নামায বান্দা ও তার প্রতিপালকের মহব্বত এবং তাঁর দেওয়া অনুকম্পার কৃতজ্ঞতা প্রকাশের প্রতীক। নামায আল্লাহর নিকট অতি গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার প্রমাণসমূহের একটি এই যে, নামায হল প্রথম ইবাদত যা ফরয হিসেবে পালনের জন্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং মেরাজের রাতে, আকাশে, মুসলিম জাতির উপর তা ফরয করা হয়েছে। তা ছাড়া নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে, ‘কোন আমল উত্তম’ জিজ্ঞাসা করা হলে তার প্রত্যুত্তরে তিনি বলেছেন:
”الصلاة على وقتها“
অর্থ: “সময় মত নামায আদায় করা”। (বুখারী ও মুসলিম)।
নামাযকে আল্লাহ পাপ ও গুনাহ থেকে পবিত্রতা অর্জনের অসিলা বানিয়েছেন। হাদীসে এসেছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন
أرأيتُم لو أن نهراً بباب أحدكم يغتسل فيه كل يوم خمس مرات، هل يبقى من درنه شيء؟ قالوا: لا، قال: كذلك مثل الصلوات الخمس يَمْحُوا اللهُ بهنّ الخطايا
অর্থ: “যদি তোমাদের কারো (বাড়ীর) দরজার সামনে প্রবাহমান নদী থাকে এবং তাতে প্রত্যেক দিন পাঁচ বার গোসল করে, তাহলে কি তার (শরীরে) ময়লা বাকী থাকবে? (সাহাবীগণ) বললেন, ‘না’। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘অনুরূপভাবে আল্লাহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের দ্বারা (বান্দার) গুনাহকে মিটিয়ে দেন’। (বুখারী ও মুসলিম)
এ বিষয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে আরো হাদীস বর্ণিত হয়েছে:
أنه كان آخر وصيته لأمته، وآخر عهده إليهم عند خروجه من الدنيا أن اتّقوا الله في الصلاة وفيما ملكت أيمانُكم. (أخرجه أحمد والنسائي وابن ماجه)
অর্থ: “নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মৃত্যুকালে তাঁর উম্মাতের জন্য সর্বশেষ অসিয়ত (উপদেশ) এবং অঙ্গীকার গ্রহণ ছিল, ারা যেন নামায ও তাদের দাস-দাসীদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করে।” (হাদীসটি ইমাম আহমাদ, নাসায়ী ও ইবনে মাজাহ বর্ণনা করেছেন)
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে নামাযের ব্যাপারে খুবই গুরুত্বারোপ করেছেন এবং নামায ও নামাযীকে সম্মানিত করেছেন। কুরআনের অনেক জায়গায় বিভিন্ন ইবাদতের সাথে বিশেষভাবে নামাযের কথা উল্লেখ করেছেন। নামাযকে তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন।
অর্থ: “অতঃপর তাদের পরে আসল এমন এক অসৎ বংশধর যারা সালাত বিনষ্ট করল এবং কুপ্রত্তির অনুসরণ করল। সুতরাং তারা শীগ্রই জাহান্নামের শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে”। (সূরা মারয়াম, আয়াত: ৫৯)
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে বর্ণিত সহীহ হাদীসে এসেছে , তিনি বলেন:
”بني الإسلام على خمسٍ شهادة أن لا إله إلا الله وأنّ محمداً رسول الله وإقامِ الصلاة وإيتاءِ الزّكاةِ وصومِ رمضانَ وحجِّ البيت لمن استطاع إليه سبيلاً..“
অর্থ:
“ইসলামের ভিত্তি পাঁচটি জিনিসের উপর স্থাপিত, সাক্ষ্য প্রদান করা যে, আল্লাহ ব্যতীত সত্যিকার কোন উপাস্য নেই এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর রাসূল। নামায প্রতিষ্ঠা করা, যাকাত প্রদান করা, রমাযান মাসে রোযা পালন করা। সক্ষম ব্যক্তির জন্য আল্লাহর ঘরে (কাবা শরীফে) হজ্জ পালন করা”। (বুখারী, মুসলিম)
উক্ত হাদীসটি ইসলামের পাঁচটি রুকন বা স্তম্ভকে অন্তর্ভুক্ত করেছে।
প্রথম স্তম্ভ:
আল্লাহ ব্যতীত কোন সত্য মা‘বুদ নেই এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর রাসূল -
প্রথমত : কালেমার স্বীকৃতি দেয়া -
”شهادة أن لا إله إلا الله وأن محمداً رسول الله“
অর্থ:
“আল্লাহ ব্যতীত কোন সত্য মা‘বুদ নেই এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর রাসূল, এ কথার সাক্ষ্য প্রদান করা।” আর এখানে لا إله শব্দটি প্রমাণ করছে যে, আল্লাহ ছাড়া যা কিছুর ইবাদত করা হয় তা সবই বাতিল এবং إلا الله শব্দটি প্রমাণ করছে ইবাদত কেবল এক আল্লাহর জন্যই নিবেদিত হতে হবে, যার কোন অংশীদার নেই। আল্লাহ তাআলা বলেন,
“আল্লাহ সাক্ষ্য দেন যে তিনি ছাড়া কোন সত্য ইলাহ নেই, আর ফেরেশতা ও জ্ঞানীগণও। তিনি ন্যায় দ্বারা প্রতিষ্টিত। তিনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই। তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।” (সূরা আল ইমরান-১৮)
আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য ইলাহ নেই, এ কথার সাক্ষ্য দানের মাধ্যমে তিনটি জিনিসের স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। প্রথমত: তওহীদুল উলুহিয়্যাহ, অর্থাৎ সকল প্রকার ইবাদত একমাত্র আল্লাহর নিমিত্তে, এ কথার স্বীকারোক্তি দেয়া এবং ইবাদতের কোনো অংশই আল্লাহ ছাড়া অন্যের জন্যে নিবেদন না করার অঙ্গিকার করা। আর এ উদ্দেশ্যেই আল্লাহ তাআলা সৃষ্টিজগতকে অস্তিত্বে এনেছেন। এ বিষয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন:
“প্রত্যেক উম্মাতের নিকট আমি একজন রাসূল প্রেরণ করেছি এই মর্মে যে, তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর এবং তাগুত (আল্লাহ ব্যতীত যে জিনিস বা বস্তুকে উপাস্যরূপে গ্রহণ করা হয়) থেকে দূরে অবস্থান কর”। (সূরা আন নাহল- ৩৬)
দ্বিতীয়ত: তাওহীদ
আর তাওহীদের সম্পূর্ণ বিপরীত হলো শিরক। অতএব তাওহীদের অর্থ যেহেতু সকল প্রকার ইবাদত একমাত্র আল্লাহ জন্য নির্দিষ্ট করা; তাই শিরক হলো ইবাদতের কোন অংশ আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো জন্য নির্দিষ্ট করা। সুতরাং যে ব্যক্তি নিজ খেয়াল-খুশি মতো আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো উদ্দেশ্যে নামাজ, রোযা, দু’আ (প্রার্থনা) নযর-মানত, জীবজন্তু উৎসর্গ ইত্যাদি করবে, অথবা মৃতব্যক্তির কাছে সাহায্য প্রার্থনা করবে, সে ইবাদতের ক্ষেত্রে শিরকের আশ্রয় নিল, আল্লাহর সাথে অন্য কাউকে অংশীদার হিসেবে সাব্যস্ত করে নিল। শিরক হলো সবচেয়ে বড় গুনাহ। এটি সমস্ত আমলকে বিনষ্ট করে দেয়। এমনকি শিরকে নিপতিত ব্যক্তির জান-মালের হুরমত পর্যন্ত রহিত হয়ে যায়। দ্বিতীয়ত: তাওহীদুল রুবুবিয়্যাহ, অর্থাৎ এ কথা স্বীকার করা যে, একমাত্র আল্লাহই সৃষ্টিকর্তা, রিযিকদাতা, জীবন দানকারী, মৃত্যু প্রদানকারী, মুদাব্বির (ব্যবস্থাপক) এবং আসমান ও যমীনে একমাত্র তাঁরই বাদশাহী। এ প্রকার তাওহীদকে স্বীকৃতি দেয়া সৃষ্টিজগতের একটি স্বভাবজাত ফিতরত-প্রকৃতি, এমন কি যেসব মুশরিকের মাঝে আমাদের নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রেরিত হয়েছিলেন তারাও তাওহীদে রুবুবীয়্যাহকে স্বীকার করত এবং তা অস্বীকার করত না। আল্লাহ বলেন:
“বল, আসমান ও যমীন থেকে কে তোমাদের রিযিক দেন? অথবা কে (তোমাদের) শ্রবণ ও দৃষ্টিসমূহের মালিক? আর কে মৃত থেকে জীবিতকে বের করেন আর জীবিত থেকে মৃতকে বের করেন? কে সব বিষয় পরিচালনা করেন? তখন তারা অবশ্যই বলবে, ‘আল্লাহ’। সুতরাং তুমি বল, ‘তার পরও কি তোমরা তাকওয়া অবলম্বন করবে না?” [সূরা ইউনুস, আয়াত: ৩১]
এ প্রকার তাওহীকে খুব কম সংখ্যক মানুষই অস্বীকার করে, যারা অস্বীকার করে তারাও আবার বাহ্যিক অস্বীকার সত্ত্বেও হৃদয়ের মনিকোঠায়, নিভৃতে, স্বীকৃতি জ্ঞাপন করে থাকে। তাদের বাহ্যিক অস্বীকৃতিটা হয় কেবলই জেদ ও অহংকারের বশবর্তী হয়ে। এ বিষয়টির প্রতিই আল্লাহ তাআলা ইঙ্গিত করে বলেন,
“তারা অন্যায় ও উদ্ধতভাবে অহংকার করে নিদর্শনগুলোকে প্রত্যাখ্যান করল, যদিও তাদের অন্তর এগুলো সত্য বলে বিশ্বাস করেছিল”। (সূরা আন্ নামল, আয়াত: ১৪)
তৃতীয়ত: তাওহীদুল আসমা ওয়াসসিফাত
অর্থাৎ আল্লাহ যেসব গুণে নিজকে গুণান্বিত করেছেন অথবা তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেসব গুণে তাঁকে গুণান্বিত করেছেন, তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা এবং কোনরূপ আকার, সাদৃশ্য, বিকৃতি ও বিলুপ্তি ইত্যাদির আশ্রয়ে না গিয়ে, তাঁর মহত্বের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়, এমনভাবে সে গুণরাজির প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা। ইরশাদ হয়েছে:
“তাঁর মত কিছু নেই আর তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা।” (সূরা আশ শুরা, আয়াত:১১)
সুতরাং কালেমায়ে “লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহু” উক্ত তিন প্রকার তাওহীদের স্বীকারোক্তিকে শামিল করে।
অতএব যে ব্যক্তি এই কালেমা সম্যকরূপে অনুধাবন করে তার দাবি মুতাবিক আমল করল, অর্থাৎ শিরক বর্জন এবং একত্ববাদে বিশ্বাস করে লা ইলাহা ইল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ উচ্চারণ করল এবং সে অনুযায়ী আমল করল সেই প্রকৃত মুসলমান বলে পরিগণিত হবে। আর যে ব্যক্তি অন্তরে বিশ্বাস না রেখে কেবল বাহ্যিকভাবে মুখে উচ্চারণ করল, সাথে বাহ্যিক আমলগুলোও করে গেল, সে প্রকৃত মুসলমান নয়, সে বরং মুনাফিক। আর যে ব্যক্তি এই কালেমা মুখে উচ্চারণ করে তার দাবির বিপরীত আমল করল, সে কাফির, যদিও সে মৌখিকভাবে এই কালেমা বার বার উচ্চারণ করে চলে, তবুও।
“মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহ প্রেরিত রাসূল”- এ কথার সাক্ষ্য প্রদানের তাৎপর্য হল, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর নিকট হতে যে রিসালাত (বার্তা) নিয়ে এসেছেন তার উপর ঈমান ও বিশ্বাস স্থাপন করা। অর্থাৎ তাঁর আনীত বিধি-বিধানের আনুগত্য করা ও নিষেধাবলি থেকে বিরত থাকা এবং সকল কাজ তাঁর প্রদর্শিত পদ্ধতি মোতাবেক করা। ইরশাদ হয়েছে:
“নিশ্চয় তোমাদের নিজদের মধ্য থেকে তোমাদের নিকট একজন রাসূল এসেছেন, তা তার জন্য কষ্টদায়ক যা তোমাদেরকে পীড়া দেয়। তিনি তোমাদের কল্যাণকামী, মুমিনদের প্রতি স্নেহশীল, পরম দয়ালু।(সূরা আত তাওবা, আয়াত: ১২৮)
এ বিষয়ে আল কুরআনের আরো অনেক বাণী প্রনিধানযোগ্য, যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন:
مَّنْ يُطِعِ الرَّسُولَ فَقَدْ أَطَاعَ اللّهَ
অর্থ:
“যে ব্যক্তি রাসূলের আনুগত্য করল সে আল্লাহর আনুগত্য করল”। (সূরা আন নিসা, আয়াত: ৮০)
‘আর তাদেরকে কেবল এই নির্দেশ দেয়া হয়েছিল যে, তারা যেন আল্লাহর, ইবাদাত করে তাঁরই জন্য দীনকে একনিষ্ঠ করে, সালাত কায়েম করে এবং যাকাত দেয়; আর এটিই হল সঠিক দীন।’(সূরা আল বাইয়িনাহ, আয়াত: ৫)
“আর তোমরা নামায সুপ্রতিষ্ঠিত কর, যাকাত প্রদান কর এবং রুকুকারীদের সাথে রুকু কর।” (সূরা আল বাকারাহ, আয়াত: ৪৩)
নামাজ: এটা হলো আমাদের মূল আলোচ্য বিষয়।
যাকাত: হচ্ছে ঐ সম্পদ যা ধনবানের নিকট থেকে সংগৃহীত এবং ধনহীন ও যাকাতের অন্যান্য হকদারদেরকে দেওয়া হয়। যাকাত ইসলামের একটি মহান বিধান, যা দ্বারা সমাজের সদস্যদের মাঝে সংহতি, সৌহার্দ, সহযোগিতা সুনিশ্চিত হয়। যাকাতের বিধানের মাধ্যমে দরিদ্র, অসহায় ও যাকাতের হকদারের প্রতি কোনরূপ দয়া প্রদর্শন নয় বরং ধনীদের সম্পদে বিত্তহীনদের এটি একটি নির্দিষ্ট অধিকার।
চতুর্থ স্তম্ভ:
রমজান মাসে রোযা পালন করা। এ বিষয়ে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন:
“হে মুমিনগণ, তোমাদের উপর সিয়াম ফরয করা হয়েছে, যেভাবে ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর। যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বন কর।” (সূরা আল বাকারা, আয়াত: ১৮৩)
পঞ্চম স্তম্ভ:
সক্ষম ব্যক্তির জন্য হজ পালন করা। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহর ঘোষণাঃ
“সামর্থ্যবান মানুষের উপর আল্লাহর জন্য বায়তুল্লাহর হজ করা ফরয। আর যে কুফরী করে, তবে আল্লাহ তো নিশ্চয় সৃষ্টিকুল থেকে অমুখাপেক্ষী।” (সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ৯৭)
আল্লাহর বিধান অনুযায়ী, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্যের মাধ্যমে, তাঁর ক্রোধ ও যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে বাঁচার উদ্দেশ্যে নামায সুপ্রতিষ্ঠিত করা ও সময়মত তা আদায় করা
[…] জুমার নামাজ (আরবি: صلاة الجمعة সালাতুল জুম্মা”) ইসলামের অন্যতম একটি নামাজ। প্রতি শুক্রবার দুপুরে অন্যান্যদিনের যোহরের নামাজের বদলে এই নামাজ আদায় করা হয়। সময় একই হলেও যোহরের সাথে জুমার নামাজের নিয়মগত কিছু পার্থক্য রয়েছে। […]
[…] পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের অন্যতম। ফজরের নামাজ প্রথম দুই রাকাত সুন্নত ও দুই রাকাত […]
উত্তরমুছুন[…] জুমার নামাজ (আরবি: صلاة الجمعة সালাতুল জুম্মা”) ইসলামের অন্যতম একটি নামাজ। প্রতি শুক্রবার দুপুরে অন্যান্যদিনের যোহরের নামাজের বদলে এই নামাজ আদায় করা হয়। সময় একই হলেও যোহরের সাথে জুমার নামাজের নিয়মগত কিছু পার্থক্য রয়েছে। […]
উত্তরমুছুনCasino Finder (2021) - Best Online Casinos
উত্তরমুছুনEstablished: 2004. Established: 2006. 토토 사이트 Established: 메리트 카지노 쿠폰 2018. Established: 2018. Established: 2018. Rating: 4.1 · Review 퍼스트 카지노 by Oklahoma 샌즈 카지노 State 제왕카지노 환전 Gaming Commission