সুন্নাহ মুতাবেক নিয়মানুযায়ী ফরজ গোসল আদায়ের নিয়ম
ফরজ গোসল-এর সঠিক নিয়ম
গোসল ফরজ হওয়ার কারণগুলোঃ
১, স্বপ্নদোষ বা উত্তেজনা বসত বীর্যপাত হলে।
২, সহবাস করলে (সহবাসে বীর্যপাত হোক অথবা না হোক)।
৩, মেয়েদের হায়েজ-নিফাস শেষ হলে।
৪, ইসলাম গ্রহন করলে, (নব-মুসলিম হলে)
গোসলের ফরজ তিনটি,
১, গড়গড়া সহ কুলি করা যাতে পানি গলার হাড় অবধি পৌঁছায়।
২, হাতে পানি নিয়ে নাক দিয়ে টানা, যাতে পানি নাকের নরম মাংস পর্যন্ত পৌঁছায়।
৩, সমস্ত শরীর ভালো করে ধুয়ে ফেলা।
ফরজ গোসল-এর সঠিক নিয়ম
গোসলের নিয়ত করা, 'বিসমিল্লাহ' বলে গোসল শুরু করা।
1.দুই হাত কব্জি পর্যন্ত ধোয়া (বুখারী ২৪৮)
2. ডান হাতে পানি নিয়ে বাম হাত দিয়ে লজ্জাস্থান ভালোভাবে ধুয়ে ফেলা। (বুখারী ২৫৭)
3.বাম হাতটি ভালোভাবে ঘষে ধুয়ে ফেলা। (বুখারী ২৬৬)
.4নামাজের ওযুর মত পূর্ণরূপে ওযু করা। এক্ষেত্রে শুধু পা দুটো বাকি রাখলেও চলবে, যা গোসলের শেষে ধুয়ে ফেলতে হবে। (বুখারী ২৫৭, ২৫৯, ২৬৫)
5.মাথায় পানি ঢেলে চুলের গোড়া ভালোভাবে পানি দিয়ে ভিজানো। (বুখারী ২৫৮)
6.পুরো শরীরে পানি ঢালা, প্রথমে ডানে তিনবার, পরে বামে তিনবার, শেষে মাথায় তিনবার। (বুখারী ১৬৮)
যেন শরীরের কোনো অংশ বা কোনো লোম/চুল শুকনো না থাকে। পুরুষের দাড়ি ও মাথার চুল ও মহিলাদের মাথার চুল ভালোভাবে আঙ্গুল দিয়ে ধৌত করতে হবে। নাভি, বগল ও অন্যান্য কুঁচকানো জায়গায় ভালোভাবে পানি ঢেলে ভিজাতে হবে।
∆ শেষে গোসলের জায়গা থেকে একটু সরে গিয়ে দুই পা ধুয়ে ফেলা। (বুখারী ২৫৭)
এটাই হচ্ছে ফরজ গোসলের পরিপূর্ন পদ্ধতি। উল্লেখ্য যে, এই গোসলের পরে কেও নামাজ পড়তে চাইলে তাকে আর পুনরায় ওযু করা লাগবেনা। যদি না ওযু ভঙ্গের কোনো কারণ ঘটে।
গোসলের পর কাপড় চেঞ্জ করলে অথবা হাঁটুর উপরে কাপড় উঠে গেলেও ওযু করতে হবেনা। কারণ এগুলো ওযু ভঙ্গের কারণ না।।
আল্লাহ সুবহানাহু তায়া'লা আমাদের সকলকে সঠিক ভাবে ফরজ গোসল করার তৌফিক দান করুন। আমিন।।
কোন মন্তব্য নেই